ইহুদিবাদের উদ্ভাবনের পরে থেকেই এর মূলবাণী হয়েছে উপনিবেশবাদ। এর লক্ষ্য হচ্ছে ফিলিস্তিনকে পুরোপুরি দখল করে তার উপরে একটি “ইহুদি রাষ্ট্র” প্রতিষ্ঠা করে ভোগদখল, জঙ্গিবাদ, স্থানচ্যুতকরণ, জাতিবিদ্বেষ ও গণহত্যার মাধ্যমে স্থানীয় জনগণকে উৎখাত করে দেশটিকে “এরেতস ইসরাইয়েল”-এ পরিণত করা। এজন্যই অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎকালের প্রকৃত সমাধানটি ইহুদিবাদের পরাজয় ও ইহুদিবাদের চূড়ান্ত বৈপরীত্য প্রতিষ্ঠা করার সাথে জড়িত, সেটি হচ্ছে: একক গণতান্ত্রিক ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র, নদী হতে সাগর পর্যন্ত। এই সমাধানটির প্রস্তাব ভয়াবহ আল-নাকবা ঘটবার পূর্বে ও পরেও প্রদান করা হয়েছিল, তবে ১৯৭৪ সালে “স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র”-এর স্লোগান দিয়ে ফিলিস্তিন মুক্তি সংস্থা (PLO) যখন “দশ দফা প্রোগ্রাম” চুক্তিতে মাত্র ২২% ফিলিস্তিনের ভূখণ্ড নিয়ে সমর্পণে বাধ্য হয়। এরূপ ক্ষতিসাধনের পরিণতি হচ্ছে ১৯৯৩ ওসলো চুক্তি যেটি ইহুদিবাদী রাষ্ট্রকে বৈধতার স্বীকৃতি দেয় এবং ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের ও ১৯৪৮ ফিলিস্তিনিদেরকে পুরো সংগ্রামের হিসাব থেকেই বাতিল করে দেয় – এককথায় এটি স্বাধীনতাকামী চিন্তাধারা ও ফিলিস্তিনি জাতীয় স্বার্থের চোখে একটি বিপথগামী ঘটনা (thawabet)।
এজন্য আমাদেরকে সকল প্রকার অসমাধান যেমন- দ্বি-রাষ্ট্র নীতি, কনফেডারেশন, দ্বি-জাতিতত্ত্ব, “ইহুদি রাষ্ট্রে আরবদের জন্য সমানাধিকার আদায়” ইত্যাদি পরিহার করে ফিরে যেতে হবে আমাদের স্বাধীনতার ঐতিহাসিক চিন্তাধারায়: ইহুদিবাদকে পরাজিত করা, স্বাধীনতা অর্জন এবং একটি গণতান্ত্রিক ও ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রে ফিরে যাওয়া। অর্থাৎ;
একটি গণতান্ত্রিক ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের জন্য উক্ত প্রস্তাবটি তাই বর্তমান ইহুদিবাদী সাম্রাজ্যের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী এবং ইহার বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজন হবে ইহুদিবাদী সাম্রাজ্য ও তার উপনিবেশিক ক্ষমতার অবসান। এছাড়াও, বিভেদমূলক নীতির উপর রাষ্ট্র গঠনের প্রচেষ্টা হিসেবে ইহুদিবাদ তার নিকটস্থ দেশের জন্য হুমকিস্বরূপ, বিশেষ করে যেসকল সমাজে ইতোমধ্যে বিভেদ ও পরিচয়বাদী ভাঙন দেখা দিয়েছে। উক্ত চিন্তাধারা তাই শুধু ফিলিস্তিনিদেরকেই রক্ষা করে না, বরং ফিলিস্তিনের সীমানার বাইরে সকল জাতির রক্ষায় কাজ করে। অতএব, যারা এই ঘোষণার সমর্থন জানান তারা এই লক্ষ্য পূরণের পর্যন্ত ফিলিস্তিনি জনগণের দ্বারা পরিচালিত সকল প্রকার প্রতিরোধ, বয়কট, সরাসরি ভূমিকা, ফিলিস্তিনে দুশমনের মিথ্যাচার মোকাবিলা, আরবদেশ ও বিদেশে রাজনৈতিক সংস্থাকে সমর্থন জানান।
আমরা, স্বাক্ষরকারীগণ, ফিলিস্তিনের জনগণ ও প্রবাসীদেরকে আমাদের জাতীয় সংগ্রামে thawabet ফিরে আসতে আহ্বান করছি, আহ্বান করছি যে উক্ত প্রকল্পের প্রতি আপনার স্বীকৃতি প্রকাশ করুন এই ফিলিস্তিনি ঘোষণা স্বাক্ষর করার মাধ্যমে। এটি বাস্তবায়নের জন্য এমন রাজনৈতিক সংস্থাসমূহে সংযুক্ত হোন যারা দেশের স্বাধীনতা এবং একটি গণতান্ত্রিক ফিলিস্তিনে শরণার্থীদের ফিরবার এই বিপ্লবী চেতনা নিয়ে এগিয়ে চলছে, নদী হতে সাগর পর্যন্ত।
ঘোষণায় 20683 ফিলিস্তিনি স্বাক্ষর করেছেন। আপনি এখানে তাদের নাম দেখতে পারেন.
নিবন্ধন করে এক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র সমাধানের জন্য আপনার সমর্থন জানান: