ফিলিস্তিনে একটি ইহুদিকেন্দ্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মতো বর্ণবাদী ও উপনিবেশিক কর্মসূচিটি ফিলিস্তিনের মানুষের উপর সীমাহীন অত্যাচার ও কষ্টের বিনিময়ে এসেছে। অন্যায়-নিপীড়ন, বেপরোয়া হত্যাকাণ্ড, জোরপূর্বক স্থানচ্যুতকরণ, জাতিবিদ্বেষী পৃথকীকরণ, সামরিক দখল ইত্যাদি তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য। ব্যক্তিপরিচয়ের রাজনীতিকরণ এবং সেই অনুযায়ী জনগণকে বিভক্তকারী এক মতবাদ বলে ইহুদিবাদ, ফিলিস্তিনের বাইরেও সাম্প্রদায়িক সমাজগুলোর জন্য বিপদজনক হয়ে দাঁড়িয়েছে।
দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানকে কোনো সমাধান হিসেবে বিবেচনায় আনা যায় না। তাছাড়াও এক জাতিবাদী মতবাদ দিয়ে অন্য জাতিবাদী মতবাদের লড়াই করা যায় না। ইহুদিবাদী উপনিবেশের মূল বিরোধী তাই এমন এক উদ্যোগ হতে হবে যা পরিচয়কে রাজনীতিমুক্ত করে। তা হলো নদী হতে সাগর পর্যন্ত, সকল নাগরিকের , জন্য এক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র। এই উদ্যোগের কাজ হলো, ফিলিস্তিনের ভিতর ও বাইরে জনসাধারণ, সংগঠন ও রাজনৈতিক দলসমূহকে এরূপ কর্মসূচিতে উজ্জীবিত করা।
“এক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র” সমাধান একটি রাজনৈতিক দৃষ্টি যা ইহুদিবাদের উপনিবেশিক কর্মকাণ্ডকে ফিলিস্তিনের অশান্তির মূল কারণ হিসেবে চিহ্নিত করে। এছাড়া এটি ইহুদিবাদকে ব্যক্তিপরিচয়ের রাজনীতিকরণের মাধ্যমে ফিলিস্তিনের বাইরেও সাম্প্রদায়িক সমাজগুলোতে সুষ্ঠু কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টির জন্য দায়ী করে। তাই যথাযথভাবেই, এই সমাধানটি ফিলিস্তিনে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাকে একমাত্র সমাধান হিসেবে প্রস্তাবিত করে।
এরকম সর্বব্যাপী ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র হবে:
এভাবেই, ওডিএস সমাধান অন্যান্য উল্লেখযোগ্য প্রস্তাবের চেয়ে আলাদা কেননা:
একনাগারে পরিচয়ের রাজনীতিকরণ বাতিল করে এভাবে এক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র সমাধানটি ইহুদিবাদী উপনিবেশিক প্রকল্পের সবচেয়ে মুখ্য বৈপরীত্যের প্রস্তাব দেয়: এটি এমন এক প্রকল্প যা রাষ্ট্রকে এক জনগোষ্ঠীর দ্বারা অন্য জনগোষ্ঠীকে মুছে ফেলার অস্ত্র নয়, বরং সমাজের নিরাপত্তা ও উন্নয়নের বাহক হবার নিশ্চয়তা দিয়ে ইহুদিকেন্দ্রিক রাষ্ট্র ভেঙে প্রতিষ্ঠা করবে এক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র, নদী হতে সাগর পর্যন্ত।
আরও পড়ুন:নিবন্ধন করে অবগত থাকুন এবং আপনার সমর্থন জানান।
পরিচয় রাজনীতিকরণ স্বভাবতই সমাজকে বিভক্ত করে, কেননা সমাজ বিভিন্ন পরিচয়ের মানুষের সমন্বয়ে গঠিত। এটি ইউরোপীয় “আমরা বনাম অন্যরা” উপনিবেশিক মানসিকতার জাতি-রাষ্ট্র মডেলের মূলনীতি, যা গত শতাব্দী ধরে কোটি কোটি মানুষের দুর্ভোগের জন্য দায়ী। ফিলিস্তিনের দখল, পৃথককীকরণ ও উপনিবেশায়ন বন্ধ করার একমাত্র সমাধান হচ্ছে পরিচয়কে রাজনীতিমুক্ত করে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা, যা এক জাতির হাতে অন্য জাতির বিরুদ্ধে যুদ্ধের অস্ত্র না হয়ে সমাজের উন্নতি ও শৃঙ্খলা রক্ষায় কাজ করবে।
নিবন্ধন করে অবগত থাকুন এবং এক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র সমাধানের প্রতি আপনার সমর্থন জানান।
সশস্ত্র আন্দোলন, বিডিএস কর্মসূচি, ফিলিস্তিনি অধিকার ও ইসরাইলি অপরাধ সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির মতো স্বাধীনতাকামী কার্যক্রমের শেষলক্ষ্য নির্ধারণ করা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। ফিলিস্তিনের যাবতীয় অবিচার ও দুর্ভোগের মূল কারণ হলো ইহুদিবাদের ব্যক্তিপরিচয়ের রাজনীতিকরণ ও ইসরাইলের ইহুদিপন্থী রাষ্ট্রপরিচয়কে চিহ্নিত করে ওডিএস সমাধানটি এই জাতিবিদ্বেষী উপনিবেশিক রাষ্ট্র ভেঙে তার উপরে এক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করাকে স্বাধীনতা অর্জনের মূল লক্ষ্য হিসেবে তুলে ধরে।
ওডিএস-কে মূল লক্ষ্য হিসেবে জনসম্মুখে তুলে ধরলে সামান্য “উন্নতি”র জন্য বসে থাকতে হবে না, যেমন- গাজা স্ট্রিপে অপরাধপ্রবণতা হ্রাস, ইসরাইলি নাগরিকদের মধ্যে বৈষম্য হ্রাস কিংবা দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান (যার ভিত্তিতে ইসরাইল “আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত” আইন অনুযায়ী দাবি করতে পারে যে, তার অপকর্ম সামরিক ভোগদখল বা জাতিবিদ্বেষী আগ্রাসন নয়)। ফলে ইহুদিবাদী-সাম্প্রদায়িক উপনিবেশ মেনে নেওয়া বা ফিলিস্তিনি স্বাধীনতার যুদ্ধকে একটি জমির দ্বন্দ্ব হিসেবে দেখার মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে না। এছাড়া এটি ফিলিস্তিনি অবদান ও ফিলিস্তিনবাদী ব্যক্তিবর্গের মধ্যে “লিবারেল ইহুদিবাদী”দের অনুপ্রবেশ প্রতিরোধ করে, যারা ইসরাইলের অপকর্মের নিন্দা করলেও ইহুদিবাদী রাষ্ট্র টিকিয়ে রাখতে একতাবদ্ধ।
ওডিএস দৃষ্টি অবলম্বন করে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতার বৈধতাকে ইহুদি, অনারব বা অমুসলিম-বিরোধী ও বর্ণবাদী মতবাদের হাত থেকে রক্ষা করা সম্ভব। অপরদিকে, “এক ইহুদিবাদী রাষ্ট্র নাকি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র?” মৌলিক প্রশ্নটিতে সুস্থিত থাকলেই গণতান্ত্রিক প্রকল্পের পরিবর্তে আগ্রাসী উপনিবেশ হিসেবে ইহুদিবাদের বাস্তবতা তুলে ধরা যাবে। এছাড়া এটি ‘হাশবারা’ (ইসরাইলি মিথ্যাচার) এর কোন্দলে না পড়ে ফিলিস্তিনি ও ফিলিস্তিনবাদী জনগণকে উপনিবেশ ছাড়িয়ে সত্যিকার অর্থে স্বাধীনতা লাভ করার রাজনৈতিক লক্ষ্যে ঐক্যবদ্ধ করে।
নিবন্ধন করে অবগত থাকুন এবং আপনার সমর্থন জানান।
এক গণতান্ত্রিক সমাধানটি প্রকৃতপক্ষে অর্জনের উদ্দেশ্যে জনসম্মুখে তুলে ধরতে গেলে সমসাময়িক ফিলিস্তিনি পন্থা থেকে সরে আসতে হবে। যা কিনা দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান, বিভিন্ন পরিচয়বাদী প্রস্তাব ও ইসরাইলের সাথে চুক্তিবদ্ধতার উপর মনোনিবেশ করে আছে। গণতন্ত্রের বিজয়ই ইহুদিবাদকে একটি বর্ণবাদী ও উপনিবেশিক মতবাদ হিসেবে ফাঁস করবে এবং একমাত্র ইহুদিকেন্দ্রিক রাষ্ট্র হিসেবে ইসরাইলের অস্তিত্ব ভেঙে দিবে।
ক্ষমতার পালাবদল এই মুহূর্তে কোনো গণতান্ত্রিক সমাধানের পক্ষে নেই। যাই হোক, দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের ব্যর্থতা, ফ্যাসিবাদে ইসরাইলের অধঃগমন, ফিলিস্তিন ও তার মিত্রদের অবদান, মতবাদ হিসেবে ইহুদিবাদের অভ্যন্তরীণ অসঙ্গতি – এগুলো ফিলিস্তিনের গণতন্ত্রায়ন ও উপনিবেশ থেকে মুক্তির পক্ষেই ক্ষমতার ভারসাম্যকে ঠেলে দিবে।
এক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র উদ্যোগটির লক্ষ্য হচ্ছে ফিলিস্তিনের ভিতরে ও বাইরে ব্যক্তি, সংস্থা ও রাজনৈতিক দলসমূহকে এরকম একটি প্রচেষ্টায় উজ্জীবিত করা। এই লক্ষ্যকে বাস্তবতায় রূপান্তরে সহায়তা করার জন্য আমরা আপনাকে এক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র সমাধানের একজন সমর্থক হয়ে নিবন্ধন করতে আহ্বান জানাচ্ছি।
নিবন্ধন করে অবগত থাকুন এবং আপনার সমর্থন জানান।
রাষ্ট্রের কাজ হলো নির্দিষ্ট সীমানায় বসবাসকারী কোনো সমাজের শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা করা। একজন ব্যক্তি ধর্মীয়, জাত-বংশীয় বা সাংস্কৃতিক পরিচয় নির্বিশেষে সমাজটির অংশ হলে সে উক্ত রাষ্ট্রে নাগরিকত্ব অর্জনের জন্য উপযুক্ত হবে।
একজন মানুষের কোনো সমাজের অন্তর্ভুক্তি নির্ধারণের জন্য সার্বজনীন ঐক্যমত না থাকলেও যুস সোলি (মাটির অধিকার, অর্থাৎ জন্মস্থান সূত্রে উক্ত রাষ্ট্রের নাগরিক হবার অধিকার) এবং যুস স্যানগুইনিস (রক্তের অধিকার, অর্থাৎ কোনো ব্যক্তির পিতা-মাতার নাগরিকত্ব সুত্রে উক্ত রাষ্ট্রের নাগরিকত্ব লাভের অধিকার) নামক দুইটি নীতি প্রায়ই ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এজাতীয় নীতির সাহায্যে নিশ্চিত করা যায় যে, যারা স্বায়ত্তশাসনের অধিকার বা রাষ্ট্রের প্রশাসনে অংশগ্রহণের অধিকার প্রাপ্ত (অর্থাৎ নাগরিকগণ), রাষ্ট্রের কর্মসূচি যেন তাদেরই চাহিদা পূরণের উদ্দেশ্যে গ্রীহিত হয় এবং অন্য সমাজের মানুষের জন্য নয়। এছাড়া ব্যক্তির সফল সামাজিকীকরণ যাচাই করার জন্য অর্থনৈতিক ও সামাজিকভাবে সমন্বিত হওয়া, আইনের প্রতি শ্রদ্ধা, জমি মালিকানা, স্থানীয়দের সঙ্গে বিবাহ, বসবাসের সময়কাল, স্থানীয় ভাষা দক্ষতাসহ অন্যান্য বিষয়সমূহ বিবেচনায় আনা হবে। উপনিবেশ উত্তরণের ক্ষেত্রে একটি বিশেষ দিকটি বিবেচনায় আনতে হয়, সেটি হচ্ছে ব্যক্তির বসতি-স্থাপনকারী হিসেবে সমাজ ধ্বংস না করে সমাজের একজন নাগরিক হিসেবে বসবাস করার আন্তরিক সংকল্পনা।
উপরিউক্ত বর্ণনা অনুযায়ী বলা যেতে পারে: “প্রত্যেক স্থানীয় ফিলিস্তিনিকে এবং গত শতাব্দী জুড়ে দেশত্যাগে বাধ্য হয়েছেন এমন ফিলিস্তিনিগণ এবং তাদের বংশধরদেরকে ফিলিস্তিনি নাগরিকত্ব প্রদান করা হবে। এছাড়া যারা ফিলিস্তিনে জন্মগ্রহণ করেছেন এবং এই নতুন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের নাগরিক হিসেবে বসবাস করতে ইচ্ছুক, তাদেরকেও নাগরিকত্ব প্রদান করা হবে। একটি নতুন আইন প্রণীত হবে যেটি ফিলিস্তিনের নতুন সরকারের সার্বভৌমত্বে বসবাসে ইচ্ছুক এবং সমাজের বিরুদ্ধে ঝুঁকিপূর্ণ নয় এমন অধিবাসীদের আবাসন সহজতর করবে। কোনো অবস্থাতেই একজন ব্যক্তির জাতি, ধর্ম, সংস্কৃতি বা অন্যান্য পরিচয়কে নাগরিকত্ব বা আবাসন প্রদানে বিবেচনায় আনা হবে না।
এভাবে ইহুদিবাদ কর্তৃক পরিচয়ের রাজনীতিকরণ ভেঙে এবং সমাজের মধ্যে সকলের সাম্যাবস্থা নিশ্চিত করে উপনিবেশ পতনের পরবর্তীকালে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের বৈধতাকে সুপ্রতিষ্ঠিত করা সম্ভব।
নিবন্ধন করে অবগত থাকুন এবং আপনার সমর্থন জানান।
১৯৪৮ সালে ফিলিস্তিনিদেরকে গণহারে দেশত্যাগে বাধ্য করার ঘটনাটি কোনো ছোট মাপের সীমাবদ্ধ অপরাধ নয়, এটি যথাযথভাবেই “আন-নাকবা” বা “মহাবিপর্যয়” নামে পরিচিত। বহু শতাব্দী জুড়ে গণহত্যাই জাতীয়-উপনিবেশিক শাসনের স্পষ্ট ছাপ হিসেবে থেকে গেছে, যা পরিচয়কে রাজনৈতিক বিষয় ধরে এবং রাষ্ট্রকে জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সমাজের পরিচালনার বাহক মানেই না, বরং রাষ্ট্রকে একটি পরিচয়বাদী, বর্ণবাদী ও জাতিবিদ্বেষী শাসনব্যবস্থা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে।
এই কারণে ফিলিস্তিনি শরণার্থী এবং তাদের সন্তানদের নিজ দেশে ফেরত আসা, মুক্তভাবে চলাচলের অধিকার, আবাসস্থল, আর্থ-সামাজিক অংশগ্রহণ ও ক্ষতিপূরণ – এগুলো মানবাধিকার কিংবা নৈতিক দায়িত্বের চেয়েও অনেক বড় একটি বিষয়। এটি ফিলিস্তিনের উপনিবেশ থেকে মুক্তি এবং সকল প্রকার উপনিবেশিকতার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সংগ্রামে এক অতিপ্রয়োজনীয় মাইলফলক। তাই এটি এমন এক সমস্যা যা অরাজনৈতিকভাবে সমাধান করা সম্ভব নয়: যেহেতু কোনো ইহুদিবাদী রাষ্ট্র নিজের নীতি অনুযায়ী কখনোই অনিহুদি জনগণের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের অধিকার নিশ্চিত করতে পারবে না, তাই উক্ত লক্ষ্য অর্জনে আমাদের প্রয়োজন জাতিবিদ্বেষী রাষ্ট্র থেকে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে রূপান্তর করার একটি রাজনৈতিক প্রকল্প।
নিবন্ধন করে অবগত থাকুন এবং আপনার সমর্থন জানান।
সর্বপ্রকার প্রমাণ নির্দেশ করে যে ইসরাইল কখনোই দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানকে সফল হতে দিতে চায় না:
ডেভিড বেন গুরিয়ন স্পষ্ট ভাষায় ঘোষণা দিয়েছে “ভূমির অংশবিশেষে ইহুদি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা শেষ লক্ষ্য নয়, বরং একটি সুত্রপাত”। প্রকৃতপক্ষে , ইসরাইলের দ্বারা ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরকে আত্মসাৎ করার নীলনকশা ১৯৬৭ সালের পূর্ব থেকেই। ‘ওসলো চুক্তি’ রচয়িতা ও স্বাক্ষরকারী য়িতজাক রাবিন ঘোষণা করেছিলো যে সে ফিলিস্তিনিদেরকে “একটি রাষ্ট্রের চেয়েও কম” দিবে এবং চুক্তিতে যেন কোনো ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের হদিস না পাওয়া যায় সেটা নিশ্চিত করেছিলো। ওসলো চুক্তি স্বাক্ষর করার বিগত বছর থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত পশ্চিম তীরে ইসরাইলি উপনিবেশ চলমান। হাজার হাজার ফিলিস্তিনি বাড়িঘর ধ্বংস করা হচ্ছে, ইহুদিদের জন্য নতুন বাড়িঘর নির্মাণ করা হচ্ছে। হাজারো ইহুদি আনা হচ্ছে এবং হাজারো ফিলিস্তিনিদেরকে স্থানচ্যুত করা হচ্ছে। বেনজামিন নেতানিয়াহু পুনর্নিশ্চিত করেছে যে ফিলিস্তিনিরা কেবল একটা “ঋণাত্মক দেশ” ছাড়া আর কিছুই পাবে না।
দ্বি-রাষ্ট্র প্রস্তাবকে এজন্য একটি বাস্তব সমাধানের পরিবর্তে উপনিবেশ স্থায়ী করার উদ্দেশ্যে ইসরাইলের সময় বাড়ানোর একটা অভিনয় হিসেবে বিবেচনা করা যায়। এছাড়াও, দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের মূল ভিত্তি হচ্ছে পরিচয়ের রাজনীতিকরণ: “যেহেতু একই অঞ্চলে আরব ও ইহুদিদের বসবাস, তাই এটি বিভক্ত করে একটি রাষ্ট্র আরবদের জন্য এবং অপরটি ইহুদিদের জন্য প্রদান করা উচিত” এই উপনিবেশিক মানসিকতার দৃষ্টিই তুলে ধরে এবং যেখানে একটি রাষ্ট্র কোনো সমাজের শৃঙ্খলা রক্ষার কাঠামো নয়, বরং এক জাতির দ্বারা অন্য জাতির বিরুদ্ধে একটি অস্ত্রবিশেষ। এরকম দুটি পরিচয়বাদী রাষ্ট্র প্রস্তাবের ফলাফল সুদৃশ্যমান: সামরিক দখল, জনগণ অপসারণ ও উপনিবেশের মতো অবিচারের স্থায়ীকরণ, সমাজকে দুই দলে আরো ব্যাপকভাবে বিভক্ত করা, অবিভক্ত গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে সমাধান না করে এই দ্বন্দ্বকে প্রাতিষ্ঠানিক করা, স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের অধিকার ক্ষুণ্ণ করা (কথার কথা: আরবরা “ইহুদি রাষ্ট্রে” কেন ফিরে আসবে? আরবদেরকে “তাদের রাষ্ট্রে” পাঠানো হোক) এবং আরবদের বিরুদ্ধে জাতিগত গণহত্যার দরজা আরো দূর খুলে দেওয়া (কথার কথা: আরবরা কেন “ইহুদি রাষ্ট্রে” বসবাস করবে? আরবদেরকে “তাদের রাষ্ট্রে” জোরপূর্বক ফিরিয়ে দেওয়া হোক)। উপনিবেশের এই বিষয়টি উপলব্ধি করা উচিত: এটি অন্য ভূমিতে দেশান্তর করে স্থানীয় সমাজের সাথে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার প্রচেষ্টা নয়, বরং স্থানীয় সমাজকে ধ্বংস করে নিজেদের আবাসন গড়ার একটা প্রচেষ্টা। তাই মূল বিষয়টি রাষ্ট্রের সংখ্যা নয়, এটি হলো ফিলিস্তিনে সফলভাবে উপনিবেশ ও পরিচয়বাদের সমাপ্তি এবং গণতন্ত্রের বিজয়।
নিবন্ধন করে অবগত থাকুন এবং আপনার সমর্থন জানান।
হ্যা. ঠিক যে কারণে থিয়োডর হার্টজেল , আর্থার বালফোর্ড , , ‘ব্রিটিশ ম্যানডেট’ ও ‘লীগ অব নেশনস’ এই ভূমিকে “ফিলিস্তিন” ডেকেছে। ঠিক যে কারণে “জুয়িশ এজেন্সি ফর ইসরাইল” সংস্থাটির আগের নাম ছিল “জুয়িশ এজেন্সি ফর প্যালেস্টাইন”, যে কারণে তারা নিজেদের ইহুদিকেন্দ্রিক রাষ্ট্রের নামও “প্যালেস্টাইন” দিতে চেয়েছিলো (দেশভাগের আবির্ভাবেই কেবল সেই নামটি তারা পাল্টে দিয়েছিল), এবং শিমন পেরেজ ও গোল্ডা মির ফিলিস্তিনি নাগরিকত্বের অধিকারী ছিল: কারণ গত ২,৫০০ বছর ধরে এই ভূমির নাম “ফিলিস্তিন” হিসেবেই পরিচিত।
অপরদিকে হিব্রু শব্দ “ইসরাইল” ইহুদিধর্মের সাথে জড়িত, তাই এটি অনিহুদিদের জন্য প্রযোজ্য নয়। “ফিলিস্তিন” শব্দটি নির্দিষ্টভাবে আরবি বা ইসলামী পরিচয়কে বোঝায় না। বরং এটি সেই নির্দিষ্ট ভূখণ্ডকে চিহ্নিত করে, যেখানে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যক্তিপরিচয় নির্বিশেষে সকল নাগরিকদের সমান অধিকার দিতে পারবে।
নিবন্ধন করে অবগত থাকুন এবং আপনার সমর্থন জানান।
গণতন্ত্র, জনগণের সমর্থনে নির্বাচিত একটি শাসনব্যবস্থা, ‘সকল নাগরিকের সমান গুরুত্ব’ – এই ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত। ইসরাইলি রাষ্ট্র অপরদিকে, পরিচয়কে রাজনৈতিক বস্তু হিসেবে বিবেচনা করে এবং ইহুদি ও অনিহুদি নাগরিকদের মধ্যে বৈষম্য সৃষ্টি করে: বেনজামিন নেতানিয়াহুর কথায়, “ইসরাইল সকল নাগরিকের রাষ্ট্র নয়, বরং এটি ইহুদি জনগণ ও শুধুমাত্র তাদের জন্যই একটি জাতি-রাষ্ট্র“। আরও পড়ুন, যেভাবে ইসরাইল একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র নয় বরং একটি পরিচয়বাদী উপনিবেশিক আবাসন।
নিবন্ধন করে অবগত থাকুন এবং আপনার সমর্থন জানান।
মানবাধিকার বলতে কিছু আছে, কিন্তু “রাষ্ট্র-অধিকার” বলতে এমন কিছু নেই। কোনো রাষ্ট্রেরই “অস্তিত্বের অধিকার” নেই – ইসরাইল হোক বা অন্য যেকোনো রাষ্ট্র। রাষ্ট্র হচ্ছে কোনো ভূখণ্ডে বসবাসকারী সমাজের কার্যবিধি পরিচালনা করার একটি কাঠামো, এক জাতির দ্বারা অপর জাতি ধ্বংসের যুদ্ধাস্ত্র নয়। যেসব ব্যক্তি নিয়ে সমাজটি গঠিত, তাদের বেঁচে থাকার এবং সমাজ পরিচালনার জন্য রাষ্ট্র গঠনের একটি গণতান্ত্রিক অধিকার রয়েছে, যা স্বায়ত্তশাসনের অধিকার নামে পরিচিত। ইহুদিবাদী প্রকল্প অন্যদিকে ফিলিস্তিনি (ইহুদি ও অনিহুদি) জনগণের মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন করে, ব্রিটিশদের সহায়তায় কোনো গণতান্ত্রিক আদেশ ছাড়াই ১৯৪৮ অবধি অফিলিস্তিনিদেরকে ফিলিস্তিনে দেশান্তর ও ফিলিস্তিনে “কেবল ইহুদিদের জন্য একটি রাষ্ট্র” প্রতিষ্ঠা করেছে। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের পরিবর্তে এরকম ইহুদিবাদী রাষ্ট্রের অস্তিত্ব তাই উপরিউক্ত গণতান্ত্রিক মানবাধিকারের অবমাননা, কোনো “অধিকার” নয়। অতএব, একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থায় স্থানান্তরিত করাই হবে এই শতাব্দী-পুরানো অপরাধকে নির্মুল করে, ফিলিস্তিন ও মধ্যপ্রাচ্যে চূড়ান্ত শান্তি অর্জনের এক ঐতিহাসিক পদক্ষেপ।
নিবন্ধন করে অবগত থাকুন এবং আপনার সমর্থন জানান।
গণতান্ত্রিক সমাধানকে ইহুদি-বিরোধী হিসেবে দাবি করার অর্থ ইহুদিধর্মকে অগণতান্ত্রিক দাবি করা, যেটি প্রকৃতপক্ষে ইহুদি-বিরোধী।
ওডিএস ইহুদিধর্মের বিরুদ্ধে নয়, এমনকি এটি প্রথম থেকেই ইহুদিধর্ম সম্পর্কে নয়। বরং, এটি ফিলিস্তিনি জনসাধারণের (ইহুদি হোক বা না হোক) স্বায়ত্তশাসনের অধিকার নিয়ে সচেষ্ট। ১৯৪৮ অবধি, এর মানে হতো তাদের নিজের দেশে বিদেশিদের(ইহুদি ও অনিহুদি) গণহারে দেশান্তর করতে সুযোগ দেওয়া বা বাধা দেওয়ার অধিকার। ১৯৪৮ এবং তার পরবর্তীকাল থেকে, এর অর্থ তাদের উপর যেন কোনো রাষ্ট্র সৃষ্টি করা বা বজায় রাখা না হয় – সে ইহুদি রাষ্ট্র হোক বা না হোক – যা কিনা তাদের উপর জাতিগত বৈষম্য জারি করে। প্রকৃতপক্ষে, ফিলিস্তিনের জন্য গণতান্ত্রিক সমাধানের আহ্বানটি ইহুদিধর্ম বলতে কিছু না থাকলেও একই হতো।
ফিলিস্তিনিগণ, তাই বলে ইহুদিবাদ মতবাদটির একমাত্র শিকার নন। ইহুদি পরিচয়কে রাজনৈতিক বানিয়ে এবং বিশ্বের সকল ইহুদিদেরকে মিলে এক জাতি হিসেবে দাবি করে ইহুদিবাদ, অন্যান্য সমাজ ও দেশগুলোর ইহুদিদেরকে বিচ্ছিন্নতায় ভুগিয়েছে। এছাড়া এটি ফিলিস্তিনের বাইরে ইহুদি সম্প্রদায়দের মধ্যে অন্তঃদ্বন্দ্ব ও মোহমুক্তির একটি উৎস হয়ে দাঁড়িয়েছে। উদাহরণস্বরূপঃ অ-ইসরাইলি ইহুদি সংস্কৃতিগুলোকে নিম্ন-চোখে দেখা (য়িদিশ ভাষা ছেড়ে দিয়ে হিব্রু ভাষার প্রচলন) অথবা বিভিন্ন দেশের ইহুদি-কল্যাণ ভাতার টাকা ইসরাইলে চালান করে দেওয়া। ইহুদিবাদের আরেকটি দোষ হচ্ছে এটি ফিলিস্তিনি সংগ্রামীদের গুলির দিকে অন্যায়ভাবে নিরীহ ইহুদিদেরকে ঠেলে দেয় – তা হোক জোরপূর্বক, উগ্রবাদী মতদীক্ষায় বা অন্য উপায়ে – ফলে ইহুদি পরিচয়কে অনিহুদি ও অন্যান্য ইহুদির চোখে আগ্রাসী উপনিবেশের সদৃশ করে তুলেছে।
উল্লেখযোগ্য বিষয়টি হচ্ছে, যদিও ইহুদিবাদ ফিলিস্তিনের উপর নির্দিষ্টভাবে একটি জাতির চূড়ান্ত ক্ষমতা নিশ্চিত করে রাষ্ট্র গঠনে সফল হয়েছে, ওডিএস সমাধান এটিকে এরকম উদ্যোগে একমাত্র মতবাদ হিসেবে দেখে না। এটি অনুরূপভাবে আরব/মুসলিম বা অন্য কোনো পরিচয়বাদী মতবাদের বিরোধিতা করে। এটি ইহুদিবাদকে কোনো একক ঘটনা হিসেবে দেখে না – বরং ইহুদিবাদকে পরিচয়ের রাজনীতিকরণের উপর ভিত্তি করে প্রতিষ্ঠিত উপনিবেশিক প্রকল্পসমূহের অনেক রকম অভিব্যক্তির একটি হিসেবে দেখে। এক পরিচয়বাদী জনগোষ্ঠীর হাতে অন্য জনগোষ্ঠী নিশ্চিহ্ন করার অস্ত্র হিসেবে কাজ করার পরিবর্তে সমাজের কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করার কাঠামো হিসেবে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র সৃষ্টির প্রস্তাব দেওয়াটা তাই শুধু ইহুদিবাদের বৈপরীত্য নয়, বরং ফিলিস্তিনের বাইরেও জাতি-রাষ্ট্র মডেল ও এই মতবাদের মূলনীতির বিরোধিতা তুলে ধরে।
নিবন্ধন করে অবগত থাকুন এবং আপনার সমর্থন জানান।
নিবন্ধন করে এক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র সমাধানের জন্য আপনার সমর্থন জানান।
নিবন্ধন করে এক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র সমাধানের জন্য আপনার সমর্থন জানান।
এক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র উদ্যোগটি একটি ফিলিস্তিনি রাজনৈতিক প্রকল্প যা “ইহুদি রাষ্ট্র নাকি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র?” সমস্যাকে (কোনো নির্দিষ্ট লক্ষ্য ছাড়া শুধু ফিলিস্তিনিদের প্রতি সহমর্মিতা দেখানো ও ইসরাইলকে নিন্দা জানানোর পরিবর্তে) ফিলিস্তিনি স্বাধীনচেতা আলাপচারিতায় মূল বিষয় হিসেবে স্থাপিত করতে চায়, যা ফিলিস্তিনের উপনিবেশ-মুক্তির সংগ্রামে একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।
তাই এই উদ্যোগটির লক্ষ্য হচ্ছে ফিলিস্তিনের ভিতরে ও বাইরে এরূপ প্রচেষ্টায় বিভিন্ন ব্যক্তি, সংস্থা ও রাজনৈতিক দলগুলোকে সচল করে তোলা। এই লক্ষ্য অর্জনের জন্য আমরা অনলাইনে ও সরাসরি এক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র সমাধান সমর্থকদের, যারা ইহুদিবাদের ঝুঁকি সম্বন্ধে অবগত কিন্তু গণতান্ত্রিক সমাধানে বিশ্বাসী নয় অথবা যারা কেবল জানতে ইচ্ছুক – তাদের সকলের নিকট হাত বাড়িয়ে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।
যত বেশি মানুষ আমাদের এই প্রচারণায় অংশগ্রহণ করবে, আমরা ততই সফল হবো। আপনি যদি আমাদের ফিলিস্তিন থেকে আগ্রাসী উপনিবেশ উত্তরণ করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার দৃষ্টিতে একমত হন, আমরা অনুরোধ করছি যে আপনি নিবন্ধন করে “আমি হয়তো সহযোগিতা করতে পারব” বক্সে টিক দিয়ে এই উদ্যোগে অংশগ্রহণ করুন- অনেক কিছু করার আছে, আর আপনি এতে অবদান রাখতে পারবেন। আপনি আমাদের ভিজ্যুয়ালসমূহ (ব্যানার, ফ্লায়ার, পোস্টার, স্টিকার) যেভাবে খুশি ব্যবহার করতে পারেন।
নিবন্ধন করে অবগত থাকুন এবং আপনার সমর্থন জানান।
“এক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র” উদ্যোগের কোনো কর্মকর্তা নেই। যদিও বিশেষ ক্ষেত্রে কখনো কখনো ফ্রিল্যান্সারদের প্রয়োজন হয়, আমরা সকলেই স্বেচ্ছাসেবী, যা খরচাপাতি সর্বনিম্ন রাখতে সহায়ক। আমরা এই খরচ নিজেদের ব্যক্তিগত ভাতা এবং দানকৃত অর্থের সাহায্যে পূরণ করি। আমরা কোনো রাজনৈতিক সংগঠন কিংবা রাষ্ট্রের কাছ থেকে দান গ্রহণ করি না।
আপনি যদি ফিলিস্তিনে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠায় আমাদের দৃষ্টির সাথে সহমত হন, আপনার আর্থিক সহযোগিতাকে আমরা অভ্যর্থনা জানাই। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কথাটি হচ্ছে, আমরা আপনাকে অনুরোধ করছি নিবন্ধন করে সমর্থন জানানোর জন্য, “আমি হয়তো সাহায্য করতে পারব” বক্সটি নির্ধারণ করে এই উদ্যোগটিতে সহায়তা করার জন্য – এখনও অনেক কিছু করার আছে, আর আপনি এতে অবদান রাখতে পারবেন।
নিবন্ধন করে অবগত থাকুন এবং আপনার সমর্থন জানান।
আমাদের খবরের সাথে আপ-টু-ডেট থাকতে আমাদের ফেসবুক পেজে (আরবি, ইংরেজি, ফরাসি) অনুসরণ করুন এবং আমাদের নিউজলেটার পেতে নিবন্ধন করুন। নিবন্ধনের সময় আপনি সংশ্লিষ্ট বক্সে টিক দিয়ে আমাদের কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। প্রকাশ্যে আলোচনার জন্য আমাদের ফেসবুক গ্রুপে (ইংরেজি, আরবি) সংযুক্ত হতে পারবেন। গোপনীয় আলোচনার ক্ষেত্রে অনুগ্রহ করে ফরমটি পূরণ করুন, তাহলে আমরা আপনাকে জবাব দিতে পারব – সচারাচর ২৪ ঘন্টার মধ্যে, অবশ্যই ৩ দিনের মধ্যে।
নিবন্ধন করে অবগত থাকুন এবং আপনার সমর্থন জানান।
নিবন্ধন করে এক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র সমাধানের জন্য আপনার সমর্থন জানান।